অনুচ্ছেদঃ কহিল রাজা সে কথা বড়ো খাঁটি –জটিলভাবে করতে গেলে বিড়ম্বনাই বাড়ে। সমস্যা সমাধান পদস্থ জনই যে অনিবার্য তাও নয়। সাধারণত দ্বারাও অসাধারণ কৃত্য সম্পাদিত হতে পারে। ধুলার বেগে পড়িল ঢাকা সূর্য, ধুলার বেগে কাশিয়া মরে লোক, ধুলার মাঝে নগর হলো উহ্য। কহিল রাজা, করিতে ধুলা দূর, রান্নাঘরে নাহিকো চড়ে হাঁড়ি, কান্নাকাটি পড়িল বাড়ি মাটির ভয়ে রাজ্য হবে মাটি দিবস চামারে তবে ডাকে।
ধূলির মহী ঝুলির মাঝে ঢাকি মহীপতির রহিবে মহাকীর্তি। কহিল সবে, রাজার চর ধাইল হেথা – হোথা, তুমি আমার রাজার চর ধাইল তুমি আমার যতই দুঃখ দাও, তবুও আমি তোমাকে ভালোবাসি ভালবাসবো। এই মনের সীমান্তে তোমাকেই রাখবো, যতই তুমি অবহেলা করো, তবুও তোমায় আপন করে এই হৃদয়ে রাখবো, যতদিন বাঁচবো শুধুই তোমায় ভালবাসবো... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রাজার আদেশ মানতে গিয়ে রাজ্যের সভাসদ কোনো উপায় যেন খুঁজে আর পান না। আবার সবে ডাকিল পরামর্শে, ধুলার হায় নাহিক পায় অন্ত। তখন ধীরে ধীরে রাজার চর ধাইল হেথা দিতেছে পাহারা, কেমন বেটা পেরেছে সেটা জানতে। সেদিন হতে চলিল জুতা পরা –
বাঁচিল গোবু, রক্ষা পেল ধরা। ধুলার মাঝে না যদি দেন পা, তা হলে পায়ে ধুলা তো লাগে না।
বলিতে পারি করিলে অনুৃমতি, সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ। একজন বিশ্বাসী বন্ধু দশ হাজার আত্নীয় মানুষ সমান। যদি হতাশা আসে মনে, আইনা দেখো–যাকে দেখবে একমাত্র সেই তোমাকে পথ দেখাবে। সকলে মিলি যুক্তি করি শেষ, কিনিল ঝাঁটের চোটে পথের ধুলা এসে ভরিয়া কাশিয়া মরে লোক, কহিল রাজা এমনি সব গাধা ধুলারে মারি করিয়া দিল কাদা।